ঊনিশ শতক
কবি বিশ্বাস (Ami Kobi Biswas Bolche)
কোনো এক ঊনিশ শতক এর প্রাতঃ সন্ধ্যায়
বিকেল ঘনিয়ে ছিল নদীর ঘাঁটে -
স্রোতে যেথা শান্ত হল, তোমার চোখের পাতায়
এলোমেলো চুল গুলো ঢেকে দিয়েছিলো আমার মুখ,
বসন্তের নেশা লেগেছিলো শরীর জুড়ে,
নেশা লেগেছিলো, পলাশ এর পাতায়- পাতায়-
ঘুম ভাঙা পাখির শৌখিনতা আলাদি হয়ে উঠেছিল;
কে জানে এ শতাব্দী মনে রাখবে কিনা আমাদের কথা,
আমার হয়তো পুরানো হয়ে যাব, শতাব্দীর শেষে।
বিহবল শরীরটা হবে একদিন হবে অচল,
চুল দাঁড়ি পেঁকে যাবে সময়ের চক্রে-
সত্যি কি সমাজ মনে রাখবে তোমায়- আমায়-
আমরা একদিন পুরানো হয়ে যাব নতুন সৌখিনতায়,
কুড়ির শতকে সমাজ নাম দেবে আমায় কাল পুরুষ।
থাকবেনা আর যৌবনটা, ঝরে যাবে, বসন্তের পাতার মতো-
তুমি কি? সেই দিনও কবিতা শোনাবে আমায় আগের মতো
কিংবা রবি বা নজরুলের গানের আদল থাকবে তোমার গলায়,
নব্বই বছর বাদে, আবার এই নদীর ঘটে, যদি হয় শেষ দেখা-
তুমি ভুলে কি যাবে আমায় ? ঊনিশ শতক এর এই কবির কথা।
তুমি সেই দিন পুরানো হবে, শুকনো হবে তোমার হাতের ছোয়া,
কুড়ির শতকে থাকবে না আর তোমার মনময়ী রূপ-
যে সৌন্দর্য মিশে যাবে তোমার অহংকারে ।
সৌখিনতার চাদর সরিয়ে আবার দেখো এই ঊনিশ শতকে-
তোমার ওই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পাবে আমার কবিতাতে,
কুড়ির শতকে বেঁচে থাকবো, তোমার কবি হয়ে-
শুধু ঊনিশ শতকে এর কবিতা গুলো ভিজিয়ে দেবে,
তোমার চোখের পাতা,ভিজে যাবে, তোমার সারির অচল,
কুড়ির শতকে নাম দেবে তোমায় কলঙ্কিনী।
তবে অসমাপ্ত এই উপন্যাসের নাম দেব "ঊনিশ শতক"
তুমি হবে কলঙ্কিনী আর আমি হব কাল পুরুষ।
তবে জীবন এর শেষ অধ্যায় "ঊনিশ শতক" থেকে যাবে অসমম্ত ,-
অসমম্ত থেকে যাবে, তোমার আমার ভালোবাসা।
আবারো কোন এক কুড়ির শতক এর প্রাতঃ সন্ধ্যায়,
বিকেল ঘনিয়ে আসবে সেই নদীর ঘটে -
স্রোতে যেথা শান্ত হবে, তোমায় দেখবো নতুন রূপে।
তোমার এলোমেলো ছোট চুল গুলোর ফাঁকে,
উঁকি দেবে সন্ধ্যের সাঁজের আলো।
আবারো বসন্ত নামবে তোমার শরীর জুড়ে-
সেই দিন আবারো ঊনিশ শতকের-
এই কবিকে খুঁজে পাবে নতুন সমাজে,
সেই দিন আবারো ঘুম দেব তোমার সারির আঁচলে,
শুধু "ঊনিশ শতক" থেকে যাবে বইয়ের পাতায় ।।
কবি বিশ্বাস (Ami Kobi Biswas Bolche)
কোনো এক ঊনিশ শতক এর প্রাতঃ সন্ধ্যায়
বিকেল ঘনিয়ে ছিল নদীর ঘাঁটে -
স্রোতে যেথা শান্ত হল, তোমার চোখের পাতায়
এলোমেলো চুল গুলো ঢেকে দিয়েছিলো আমার মুখ,
বসন্তের নেশা লেগেছিলো শরীর জুড়ে,
নেশা লেগেছিলো, পলাশ এর পাতায়- পাতায়-
ঘুম ভাঙা পাখির শৌখিনতা আলাদি হয়ে উঠেছিল;
কে জানে এ শতাব্দী মনে রাখবে কিনা আমাদের কথা,
আমার হয়তো পুরানো হয়ে যাব, শতাব্দীর শেষে।
বিহবল শরীরটা হবে একদিন হবে অচল,
চুল দাঁড়ি পেঁকে যাবে সময়ের চক্রে-
সত্যি কি সমাজ মনে রাখবে তোমায়- আমায়-
আমরা একদিন পুরানো হয়ে যাব নতুন সৌখিনতায়,
কুড়ির শতকে সমাজ নাম দেবে আমায় কাল পুরুষ।
থাকবেনা আর যৌবনটা, ঝরে যাবে, বসন্তের পাতার মতো-
তুমি কি? সেই দিনও কবিতা শোনাবে আমায় আগের মতো
কিংবা রবি বা নজরুলের গানের আদল থাকবে তোমার গলায়,
নব্বই বছর বাদে, আবার এই নদীর ঘটে, যদি হয় শেষ দেখা-
তুমি ভুলে কি যাবে আমায় ? ঊনিশ শতক এর এই কবির কথা।
তুমি সেই দিন পুরানো হবে, শুকনো হবে তোমার হাতের ছোয়া,
কুড়ির শতকে থাকবে না আর তোমার মনময়ী রূপ-
যে সৌন্দর্য মিশে যাবে তোমার অহংকারে ।
সৌখিনতার চাদর সরিয়ে আবার দেখো এই ঊনিশ শতকে-
তোমার ওই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পাবে আমার কবিতাতে,
কুড়ির শতকে বেঁচে থাকবো, তোমার কবি হয়ে-
শুধু ঊনিশ শতকে এর কবিতা গুলো ভিজিয়ে দেবে,
তোমার চোখের পাতা,ভিজে যাবে, তোমার সারির অচল,
কুড়ির শতকে নাম দেবে তোমায় কলঙ্কিনী।
তবে অসমাপ্ত এই উপন্যাসের নাম দেব "ঊনিশ শতক"
তুমি হবে কলঙ্কিনী আর আমি হব কাল পুরুষ।
তবে জীবন এর শেষ অধ্যায় "ঊনিশ শতক" থেকে যাবে অসমম্ত ,-
অসমম্ত থেকে যাবে, তোমার আমার ভালোবাসা।
আবারো কোন এক কুড়ির শতক এর প্রাতঃ সন্ধ্যায়,
বিকেল ঘনিয়ে আসবে সেই নদীর ঘটে -
স্রোতে যেথা শান্ত হবে, তোমায় দেখবো নতুন রূপে।
তোমার এলোমেলো ছোট চুল গুলোর ফাঁকে,
উঁকি দেবে সন্ধ্যের সাঁজের আলো।
আবারো বসন্ত নামবে তোমার শরীর জুড়ে-
সেই দিন আবারো ঊনিশ শতকের-
এই কবিকে খুঁজে পাবে নতুন সমাজে,
সেই দিন আবারো ঘুম দেব তোমার সারির আঁচলে,
শুধু "ঊনিশ শতক" থেকে যাবে বইয়ের পাতায় ।।
No comments:
Post a Comment