Sunday, 30 July 2017

ফাঁকা ট্রেনের রহস্য(কবি বিশ্বাস)(Ami Kobi Biswas Bolche)(কাল্পনিক কবি)

ফাঁকা ট্রেনের রহস্য
কবি বিশ্বাস (Ami Kobi Biswas Bolche)
#রাত তখন প্রায় দশটা, ভাবলাম আজ শেষ ট্রেনে বাড়ি ফিরবো; সকাল থেকে অফিস এর অনেক চাপ সামলাতে হয়েছে। তাই বিকালটা থেকে গেলাম বন্ধুর বাড়িতে, তবে বেশ, সুন্দর প্রকৃতি এখনকার । দেখে এক প্রকার মুগ্ধ আমি। তার পর দুপুর এর খাওয়া দাওয়া বেশ ছিল। খাবার পর বন্ধু সাথে সাইকেলটা নিয়ে ছুটলাম নদীর পারে, আহা হা হা; কি সুন্দর দৃশ্য, অবাঞ্চিত এই চোখ দুটো আজ যেন স্বর্গ দেখছে। এক অজানা হওয়া যেন পাগল হয়ে যাচ্ছি প্রতি ক্ষনে ক্ষনে, হেমন্ত ঋতুর দক্ষিনা বাতাস আর নদীর জলের গন্ধ যেন নেশা লাগিয়ে দিয়েছে আমার সারা শরীরে।




#কখন যে সাঁঝ নেমে আসছিলো জানিনা, প্রকৃতির মদকীয়তায় দুইবন্ধু কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানিনা। ঘুম ভাঙতেই দেখি বন্ধু হা করে চেয়ে রয়েছে। কি জানি কি দেখছে ওই অন্ধকারে, আমার হটাৎ করেই চোখ গেলো ওপারে, দেখি এক নারী নদীতে স্নান করেছে, আমিও এই নিয়ে বন্ধুর সাঁথে ঠাট্টা তামাশা করছি। কিন্তূ হটাৎ করেই চোখ সরাতে মেয়েটা কোথায় যেন উধাও হয়ে গেলো। এইতো ছিল হটাৎ করে উধাও; বিষয়টা একবারেই ধাতস্থ হতে পারলাম না।ওদিকে রাত বাড়ছে বাড়ি ফিরতে হবে তাই বিষয়টাকে ওই খানেই ধামাচাঁপা দিয়ে ফিরে আস্তে হল।

#বন্ধুর বাড়ি যেতেই, কাকিমা বলে উঠলেন, আজ বাবা তোমার বাড়ি যেতে হবেনা, আজ বরঞ্চ এখানেই থেকে যাও তোমার বন্ধু প্রভাত এর সাথে, যা কথা প্রসঙ্গ বলা হয়নি আমার বন্ধুটির নাম প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। এবং আমার নাম হেমন্ত দাসগুপ্ত। সরকারি কর্মচারী আমি, মাঝে সাঝে লেখালেখিও করে থাকি মাঝে মাঝে।
#খুব কষ্ট করে কাকিমাকে বোঝাতে হল বাড়ি আজ ফিরতে হবে তাই বেশি কথা না বলে বেড়িয়ে পড়লাম স্টেশন এর দিকে। গ্রামগঞ্জ এলাকা তাই বন্ধু এগিয়ে দিয়ে গেলো স্টেশন অবধি, তারপর স্টেশনে পা রাখতেই দেখি গা ছমছমছে একলা স্টেশন। কেউ নেই কথা শুধু আমি একা, অপেক্ষায় শুধু এই লাইনের শেষ ট্রেন।

#কেমন যেন দমবন্ধ করা পরিবেশ চারিদিকে, যাই হোক ট্রেন আস্তে যেকোনো মিনিটঃ পাঁচেক; এক প্রকার ভয় দানা বাঁধছিলো মনের কোন! বেশি কিছু না ভেবে চুপটি করে বসে রইলাম। কেমন যেন সব অচেনা লাগতে লাগলো আমার কাছে, তবে ট্রেন এর হুইসেল শুনে মন একটু শান্ত হল যাক বাবা এবার আর কোনো চিন্তা নেই। ট্রেনে উঠেই সোজা বাড়ি!

#খুব আনমনা ভাবেই ট্রেন থামতেই তরিজরি করে উঠে পড়লাম। উঠতেই চোখ আরো ধাঁধিয়ে গেলো, কি ঘটছিল আমার সাথে কিছু বুজতে পারছিলাম না, পুরো ট্রেনের কামরাটা ফাঁকা কেউ নেই, আমি পুরো হতো ভম্ভো হয়ে বসে পড়লাম সিটে। বুজতে পারছি গায়ের লোমগুলো কেমন যেন খাড়া হয়ে যাচ্ছে। আর মরা কপাল ভাবনা চিন্তা গুলো এমন; তখনি ওই নদীর ঘাটের ওই মেয়েটার কথা; বেশি করে মনে পড়তে লাগলো। কি করে উধাও হয়ে গেলো মেয়েটা। তাঁর মধ্যে ট্রেনটা হটাৎ পরেরস্টেশন আসতেই!সমস্ত ট্রেনের আলোগুলো নিভে গেলো......
বাকিটা পরে -

No comments:

Post a Comment